
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত শনিবার দিন মাদ্রাসা বোর্ডের হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলের ফলাফল ঘোষিত হয়। মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও জেলার মধ্যে নজর কেড়েছে মোসাম্মৎ ফয়জুন্নেসা খাতুন। জানা যায় বীরভূমের পাঁরুই থানার অন্তর্গত গোলাপবাগ গ্রামে বাড়ি এবং স্থানীয় থানার খুষ্ঠিগিরি দরগা শরীফ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮০০ র মধ্যে ৭১৪। ফয়জুন্নেসা খাতুন এর পিতা একজন ক্ষুদ্র কৃষক এবং মা গৃহবধু। কৃষি কাজের উপরেই সংসার নির্ভরশীল। যাদের দিন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ। তবে আগামী দিনে মেয়ের পড়াশোনা এবং পথ পরিকল্পনায় বেশ ভাবিয়ে তুলেছে ক্ষুদ্র চাষীর পরিবারে।মেয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা। সেই সাথে একবুক স্বপ্ন যে চিকিৎসক হবার মনোবাসনা। ফয়জুন্নেসা খাতুন এর নজরকাড়া সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তাঁর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে কোচিং শিক্ষকরা পর্যন্ত ।তাঁর দাদাভাই রাজেন জানায় বোন ছোট থেকেই অঙ্কে ভীষণ আগ্রহী ছিল।গনিত বিষয়ে কখনো ভয় পেতো না। গণিতে তার প্রাপ্ত নম্বর উঠেছে ৯৭। সর্বশেষ ফয়জুন্নেসার কথায় পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই এবং এটা তারই ফসল বলা যেতে পারে। আত্মীয়স্বজন সহ পাড়া প্রতিবেশী সকলের কাছে আশঙ্কা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে ঠিক কিন্তু চিকিৎসক হবার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা। কারন সেই ক্ষুদ্র চাষীর অর্থনৈতিক যোগান যোগানো সম্ভবপর হবে তো? সুহৃদয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পাশে না দাঁড়ালে ফয়জুন্নেসা খাতুন এর স্বপ্ন হয়তো অঝরে ঝরে যাবে।
