
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী দিয়ে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে গরু ঢোকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গরু পাচারের করিডোর হিসেবে বীরভূম কে ব্যবহার করে চলেছে পাচারকারীরা। বীরভূম থেকে নদীয়া,মুর্শিদাবাদ জেলা হয়ে বাংলাদেশ পাচার হয়ে যায় গরু। সেরকমই একদল গরু পাচারকারী সক্রিয় রয়েছে জেলার মধ্যেও। সেই রকম মঙ্গলবার গরু পাচারের গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিউড়ি থানা এলাকার মধ্যে নজরদারি চালাতে শুরু করেন এসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তী। এরূপ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সিউড়ি থানার হারাইপুর গ্রামের কাছে সিউড়ি আমোদপুর পাকা রাস্তার ৮ টি গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান দেখতে পান। গরু গুলো খুব নিষ্ঠুর ভাবে বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ দেখতে পান। গবাদিপশু সহ গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ গাড়ি,গরু সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে পরিচয়ে জানতে পারেন নদিয়া জেলার কালীগঞ্জের ফজলুর সেখ (৫৯) এবং গাড়ির চালক মনিরুল (৩১) ও সেখ হাসান (২৫) সিউড়ি থানার হারাইপুর গ্রামের। ধৃতরা স্বীকার করেছেন যে এই সমস্ত গবাদি পশু সীমান্তবর্তী নদীয়া জেলায় পরিবহন করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই ধরনের ঘটনার জন্য যথাযথ আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট মামলা শুরু করা য়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
