বর্ষার শুরুতেই খটঙ্গা পঞ্চায়েতের কেন্দুলী গ্রাম্য রাস্তার বেহাল দশা

সনাতন সৌঃ

সিউড়ী থেকে ১২ কিমি দূরে রয়েছে সিউড়ী ১ নং ব্লকের অন্তর্গত খটঙ্গা পঞ্চায়েতের কেন্দুলী গ্রাম। এই গ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিকে সাহাপাড়ার পেতো গড়ের পাড় থেকে বৈরাগ্য গড়ের পাড় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবৎ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। সিউড়ি-আমজোড়া হাইওয়ে এই গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে। এই মেন রাস্তার দক্ষিণ দিকে একটি পাকা ড্রেন তৈরী হয়েছে। এই ড্রেনের সমস্ত জল ওই কাঁচা রাস্তায় বইয়ে যায়। ফলে জলের তোড় প্রবল বেগে রাস্তা ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে। গ্রাম্য রাস্তার জল নিকাশের কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্ষার শুরুতেই রাস্তা সংলগ্ন পেতো গড়ের পাড় মারাত্মক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ যেন মরণ খাদের পরিণত হয়েছে।
প্রত্যহ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাঠে ও পুকুরে স্নান করতে এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। জমিতে চাষ করার জন্য লাঙ্গল, গরুর গাড়ি, ছাগল, গরু ও অন্যান্য যানবাহনও পারাপার করে। বর্ষাকালে রাস্তা কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায়। প্রায় দেখা যায় যে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ও বৃদ্ধ- বৃদ্ধারা রাস্তা চলাচল করতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। এখন বৃষ্টির জলের তোড়ে মারাত্মক খাল হয়ে গেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়া এই গ্রামের সবচেয়ে বড় উৎসব দ্বারবাসিনী মায়ের বারি পুজো। ওই সময় বহু লোকের সমাগম হয়। মায়ের বারি বিসর্জনের সময় পদযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। বর্ষা শুরু হতেই এই করুণ অবস্থা তাহলে ভরা বর্ষায় কী হবে তাই নিয়ে চিন্তিত সকল গ্রামবাসী অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামত করার জন্য সরকারের কোনো হেলদোল নেই। এতে জনসাধারণ দারুন অসুবিধা ভোগ করছেন। সেই জন্য জনস্বার্থে অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আজ অবধি রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। পঞ্চায়েত সদস্যা অর্পিতা বাগ্দীকে এই রাস্তার দূরাবস্থা বিষয়ে জানানো হলে তিনি বলেন যে, এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য অ্যাকশন প্ল্যানে দেওয়া আছে। পঞ্চায়েতের বডির মিটিং আছে। এই ভয়ানক রাস্তার অবস্থার কথা পঞ্চায়েতের ওই বডির মিটিং-এ জানাবো। যাতে অতি সত্ত্বর ওই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হয় তারজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *