
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
মোটা মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে সিনেমার কায়দায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করতে এসে পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল অপহরণকারীদের পরিকল্পনা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার খয়রাসোল থানার পাঁচড়া এলাকায়। বিবরণে জানা যায় ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ জনের একটি অপহরণকারীদের দল স্কোরপিও গাড়ি নিয়ে খয়রাসোল থানার পাঁচড়া এলাকা থেকে দুবরাজপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় সরকারকে অপহরণের চেষ্টা করে। পাঁচ জন মিলে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে চাপানোর চেষ্টা করে, চলে ধাক্কাধাক্কি। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই হতবাক। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয় যে বেশ কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি একজনকে টেনে গাড়িতে চাপানোর চেষ্টা করছে এবং ধ্বস্তাধ্বস্তি চলছে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িতে চাপিয়ে অপহরণকারীরা কয়েক কিলোমিটার রাস্তা এগিয়ে যায়। এদিকে খয়রাসোল থানার ওসি কাবুল আলী খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি এলাকায় টহলরত মোবাইল ভ্যানে থাকা পুলিশদের নির্দেশ দেন যেকোনো প্রকারে গাড়িটি আটকানোর। পুলিশ অপহরণকারীদের গাড়ি সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ব্যবসায়ীর স্ত্রী অভিযোগ করেন যে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। আটককৃতদের মধ্যে দুর্গাপুর এলাকার দেবাশীষ ব্যানার্জি নিজেকে পুলিশের লোক বলে দাবি করে। যার প্রেক্ষিতে খয়রাসোল থানার পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত ধৃতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন আদৌও তিনি পুলিশের লোক নয়। পুলিশ সকলকে গ্রেফতার করে সেই সাথে স্কোরপিও গাড়ি, পাঁচটি মোবাইল, নাইলন দড়ি অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারেন যে রাহুল ঠাকুর ঝাড়খণ্ডের এবং জিয়াউল সেখ, গৌরাঙ্গ সরকার,সেখ ফিরোজ ও দেবাশীষ ব্যানার্জি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে খয়রাসোল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।
