
শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকে বেলিয়া গ্রামে (বেলে) ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির। আজ ২২ জুন, বাংলা আষাঢ় মাসের প্রথম রবিবার এই মন্দিরে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। বসেছে গ্রামীণ মেলা। আহমদপুর (জংশন) রেলস্টেশন থেকে বেলের ধর্মরাজ মন্দিরের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। বেলে গ্রামের একটু ভিতরের দিকে রয়েছে আনুমানিক দুশো বছরের পুরোনো ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পদচিহ্ন’ উপন্যাসে তিনি এই ধর্মরাজ মন্দির নিয়ে কলম ধরেছেন। বছর কয়েক আগে বেলের ধর্মরাজ মন্দিরের সেবায়েতদের সহযোগিতায় মন্দিরটির সংস্কার করা হয়। এই ধর্মরাজ মন্দিরের ভিতরে ধর্মরাজ বাবা, মহাদেব ও ভৈরবনাথের মূর্তি রয়েছে। প্রত্যহ সেখানে নিত্য পুজো হয়। বছর ভর এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা থাকলেও আষাঢ় মাসে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল নামে। বিশেষ করে বাতের ওষুধ নেওয়ার জন্য বীরভূমের বেলে গ্রামের ধর্মঠাকুরের মন্দিরে এখনো ছুটে আসেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্ত।
এখানে বাতের ওষুধ নিতে যাঁরা আসেন তাঁদের প্রথমে এখানকার ধর্মঠাকুরের মন্দিরের পাশের পুকুরে স্নান করতে হয়। পুকুরের মাটি মেখে স্নান করার পর লোকায়ত বিশ্বাস নিয়েই পুজো দেন মন্দিরে। মন্দিরের সেবায়েতরা রোগীর বাতের স্থানে লাগানোর জন্য দেন তেল। যে যার ইচ্ছে এবং সামর্থ্য মতো তেল ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যান। আষাঢ় মাসের এই প্রথম রবিবার মন্দির চত্বরে গ্রামীণ মেলায় প্রচুর লোকের সমাগম হয়। বর্তমান বিজ্ঞান মনস্কতার যুগেও বাতের ব্যথায় উপশম পেতে দৃঢ় বিশ্বাসে ছুটে আসেন বেলের ধর্মরাজ মন্দিরে।

