
শম্ভুনাথ সেনঃ
একদিন ছোটোদেরকে ছেড়ে দিতে হবে মঞ্চ। এই নয়াপ্রজন্মই তো আগামীদিনে বড়দের ফাঁকা আসন পূর্ণ করবে। ধরে রাখবে পরম্পরা। এমন ভাবনায় জারিত হয়ে পয়লা জুলাই, ২০২২ “ব্যাঙ্গমা” নামে একটি শিশু-কিশোরদের আনন্দ অঙ্গনের আত্মপ্রকাশ ঘটল বীরভূমের সতীপীঠ বক্রেশ্বরে। এদিন কবি অতনু বর্মন ও বরুন দাসের অনবদ্য সঞ্চালনায় সকাল থেকেই ‘বক্রেশ্বর সরকারি যুব আবাসের’ প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উদ্বোধক রূপে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিশিষ্ট কথা শিল্পী ‘নলিনী বেরা’। জেলার কবি সাহিত্যিক, ছড়াকার, গীতিকার এমন সংস্কৃতি মনস্ক আত্মজন, আপনজনেরা উপস্থিত ছিলেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মূলতঃ ছোটদের নাটক, ছোটদের মঞ্চ নিয়েই এই “ব্যাঙ্গমা” সংস্কৃতি অঙ্গনের নয়া ভাবনা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের অন্যতম অভিভাবক ছড়াকার আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়। এদিন অধ্যাপক ডঃ তপন গোস্বামী, সাহিত্যিক সমরেশ মন্ডল, ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায়, নীলোৎপল ভট্টাচার্য, ছড়াকার অতনু বর্মন, অসীম শীল, গীতিকার নারায়ণ কর্মকার, নাট্যকার স্বপন রায়, উজ্জ্বল হক, নির্মল হাজরা এমন শতাধিক সাহিত্য প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্গমা’র খুদে সদস্যরা। সারাদিন ধরেই চলে কথা, কবিতা, ছড়া, গান, আবৃত্তি পাঠের আসর। প্রকাশিত হয় আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের “জলছবি” আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়ের “তাৎক্ষণিক” নীলোৎপল ভট্টাচার্যের “অন্ধবীজের অগ্নিগর্ভে” এমন সব ছড়া এবং কবিতার বই।