
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ক্লাস চলাকালীন এক শিক্ষকের অশোভনীয় আচরণ এবং মারের চোটে প্রায় ১৬ জন ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের মধ্যে অবস্থিত আল-আমিন ব্রিলিয়ান্ট একাডেমি নামক একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অভিযোগ শিক্ষক খুরশেদ আলমের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রী। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে। প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্রী জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক খুরশেদ আলমের পড়ানোর পদ্ধতি ও ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। এমনকি বিষয়টি তাঁরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিতভাবেও জানানো হয়। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় শিক্ষক খুরশেদ আলম রীতিমতো রেগে গিয়ে একে একে ছাত্রীদের মারধর করতে থাকেন।
এরূপ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের জেরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি ছাত্রীদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন ছাত্রী আঘাতজনিত ট্রমার শিকার হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই উক্ত শিক্ষকের আচরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন, তথাপি আগাম কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই পরিস্থিতি। অসুস্থ ছাত্রীদের পরিবার পরিজন সহ স্থানীয় বাসিন্দারা উক্ত ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিকে রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক খুরশেদ আলমকে আটক করেন পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছেন রামপুরহাট থানার পুলিশ। যদিও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষকের শিক্ষক সুলভ আচরণ ও স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
