সুসাইড নোটে ওসিকে দায়ী, মুক্তির পরই আত্মঘাতী যুবক মল্লারপুরে

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

মল্লারপুর থানার মহুরাপুর গ্রামে স্থানীয় থানার ওসি র বিরুদ্ধে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা এক যুবকের। সুইসাইড নোটে মল্লারপুর থানার ওসি রাজকুমার দাসের বিরুদ্ধে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। মৃতের নাম কিরণ ওরফে শঙ্খ মণ্ডল, বয়স ২৩ বছর। ঘটনাটি ১৯ জুলাই শনিবার ভোরে নিজেদের মাটির বাড়ির কোঠায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রথমতঃ পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুসাইড নোটে শঙ্খ লিখেছে যে সে নির্দোষ, তাকে মল্লারপুর থানার পুলিশ ফাঁসিয়েছে। থানার বড়োবাবু রাজকুমার দাস থানাতে আমার ওপর খুব অত্যাচার করেছে দুই দিন ধরে। মারধর করে খুব আমাকে। আর একটা লাস্ট কথা আমার মরার পিছনে কারো হাত নেই এক মাত্র রাজকুমার দাস ছাড়া। রাজকুমার দাসের শাস্তি চাই। এদিকে চার পাতার সুসাইড নোটে শঙ্খ তার প্রেমিকা, বাবা মার উদ্দেশ্যও লিখে গিয়েছে।
এদিকে শঙ্খর সঙ্গে ডাকাতির কেসে জড়িত আইটিআই কলেজের এক ছাত্র সোমনাথ দাস অভিযোগ করে তারা চার বন্ধু মল্লারপুরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো সেই সময় একটি গাড়ি জোরে রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যায়। তখন গাড়িকে আটকে চালকের সাথে ঝামেলাও হয়। তার পরের দিনই ওসি রাজকুমার দাস আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় আড়াই দিন বসিয়ে রেখে ছিল। তারপরে সাঁইথিয়া যাওয়ার যে রাস্তা সেই রাস্তায় একটা ব্রিজের কাছে হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ছিনতাই কেস দেয়। ভিডিও করা হয়, একমাস সাজাও হয়। যদি ভিডিও না করতো, সাজা না হতো তাহলে বন্ধু জীবিত থাকতো।
পরিবার সূত্রে জানা যায় মাসখানেক আগে ডাকাতির কেসে মল্লারপুর থানার হাতে গ্রেপ্তার হয়। প্রায় একমাস জেল হাজতে ছিলো। গত ১৫ জুলাই জেল থেকে মুক্তি পায়। শনিবার নিজের বাড়ি থেকেই তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় মল্লারপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তর জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় মল্লারপুর থানার পুলিশ বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *