
শম্ভুনাথ সেনঃ
“শ্রাবণ মাস” বাবা শিবের মাথায় জল ঢালার মাস! প্রসিদ্ধ এই মাসকে বলা হয় দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনার মাস। এই মাসের প্রতি সোমবার মনস্কামনা পূরণের লক্ষ্যে শিবের মাথায় জল ঢালতে দূর দূরান্ত থেকে শিব ভক্তরা শৈবক্ষেত্রে রওনা দেন। আজ ২৫ শে শ্রাবণ (১১ আগষ্ট) শ্রাবণের এই শেষ সোমবার বীরভূমের কলেশ্বর, খগেশ্বর, পাহাড়েশ্বর, মল্লেশ্বর, রাখড়েশ্বর, জপেশ্বর, সতীপীঠ বক্রেশ্বর জেলার এমন সব শৈবতীর্থগুলিতে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বীরভূমের অন্যতম সুপ্রাচীন এবং জেলার সবচেয়ে সুউচ্চ “কলেশ্বর শিবমন্দিরে” শিবের মাথায় জল ঢালতে আজ সকাল থেকেই অগণিত ভক্তদের ঢল নামে। অন্যদিকে শিব ভক্তের ভিড়ে জমজমাট বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ বক্রেশ্বর শৈবক্ষেত্র।
শ্রাবণ মাসের তিনটি সোমবারকে ছাপিয়ে আজ চতুর্থ অর্থাৎ শেষ সোমবারের দিন ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গত রাত দেড়টা থেকেই বক্রেশ্বর শিব মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় শিব ভক্তদের জন্য। সেবাইত কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন শ্রাবণ মাসে জল ঢালার জন্য শিবভক্তদের এমন ভিড় এর আগে কোনদিন দেখা যায়নি। স্বভাবতই বক্রেশ্বর শৈবক্ষেত্র আজ ভক্ত-পুণ্যার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ আঁটোসাঁটো। গেরুয়া পোশাকে, ‘বোল ব্যোম’ ধ্বনিতে সুসজ্জিত, ছেলেদের পাশাপাশি মা-মেয়েরাও মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে বাবা শিবের মাথায় জল ঢালতে ছুটে আসেন এই সুপ্রাচীন শিবমন্দিরে। বিভিন্ন সংস্থা, আগত পুণ্যার্থীদের জন্য গত রাত থেকেই রাস্তায় রাস্তায় জল পানের ব্যবস্থা এমন কি আজ দুপুরের খাবার খিঁচুড়ি, সব্জি লুচি, পোলাও, ভাণ্ডারার ব্যবস্থা করেন।
