
মেহের সেখঃ
২৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য অকাদেমির প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে হিন্দী ভাষার প্রখ্যাত সাহিত্যিক শ্রীলাল শুক্লার জন্ম শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই শ্রীলাল শুক্লাকে নিয়ে শরৎ দত্তের নির্দেশনায় ও সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে নির্মিত তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। এদিনের আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য অকাদেমির অধ্যক্ষ ড. মাধব কৌশিক। তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন শ্রীলাল শুক্লা ব্যঙ্গ শৈলীকে আপন করে নিয়ে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলো সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণে সাহিত্য অকাদেমির সচিব ড. কে. শ্রীনিবাসরাও বলেন শ্রীলাল শুক্লার সাহিত্য আমাদের সমাজ বাস্তবতার সাথে পরিচিতি ঘটায় এবং ব্যঙ্গের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রেরণা জোগায়। গোবিন্দ মিশ্র তাঁর বক্তব্যে শ্রীলাল শুক্লা একজন বড়ো মাপের ঔপন্যাসিক ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। রামেশ্বর রায় তাঁর বক্তব্যে শ্রীলাল শুক্লার সাহিত্য স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গের উপন্যাস বলে উল্লেখ করেন। শ্রীলাল শুক্লার কনিষ্ঠ কন্যা বিনীতা মাথুর তাঁর পিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শ্রীলাল শুক্লার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং শাস্ত্রের প্রতি রুচিগত দিক তুলে ধরেন। সাহিত্য অকাদেমির উপাধ্যক্ষ ড. কুমুদ শর্মার বক্তব্যে উঠে আসে ষাঠ দশক পরবর্তী ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে স্থিতিশীলতা ব্যঙ্গ বিদ্রুপের কশাঘাতে শ্রীলাল শুক্লার সাহিত্যে উঠে আসার কথা। মমতা কালিয়া তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন শ্রীলাল শুক্লা সাহিত্যিক হিসেবে তো বটেই এমনকি মানুষ হিসেবেও খুবই ভালো ছিলেন। শৈলেন্দ্র সাগর শ্রীলাল শুক্লার সাথে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার ও শ্রীলাল শুক্লার মৃত্যু পর্যন্ত সম্বন্ধ স্মরণ পূর্বক বলেন শ্রীলাল শুক্লা নবীন লেখকদের লেখা পাঠ করতেন এবং তিনি তাঁর অভিমত ব্যক্ত করতেন। নিত্যানন্দ তিওয়ারি ও বিনোদ তিওয়ারির বক্তব্যেও উঠে আসে শ্রীলাল শুক্লার উপন্যাসে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ প্রসঙ্গ। রেখা অবস্থী, সুভাষ চন্দর, রাজকুমার গৌতম শ্রীলাল শুক্লার সাহিত্যের বিভিন্ন প্রবণতা গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাহিত্য অকাদেমির উপসচিব ড. দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ।