
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বর্ষাকালে নদীগর্ভে বালি উত্তোলন সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এতদসত্ত্বেও আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চলছে বালি উত্তোলন। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও পাচার রোধে স্বয়ং জেলাশাসক নৈশকালীন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। সেরূপ শুক্রবার রাতভর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওভারলোড এবং অবৈধ বালি ভর্তি পাঁচটি ডাম্পার ও চালক খালাসি সহ পাঁচজনকে আটক করে। জানা যায় এদিন রাতে অবৈধ বালি পরিবহনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালানর সময় তীব্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাড়িগুলো আটক করা হয়। যেমন ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুর স্কুল মোড়ের কাছে পাকা রাস্তার উপর প্রায় ৮০ টন বালি বোঝাই মুর্শিদাবাদগামী একটি ডাম্পার আটক হয়। কিন্তু চালক ও খালাসি উভয়ই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পালিয়ে গেলেও চালক এবং গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য ময়ূরেশ্বর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরবর্তীতে সাঁইথিয়া থানার অধীনে তালতোলার কাছে পাকা রাস্তার উপর চারটি ওভারলোড প্রায় ৯০ টন ভেজা বালি বোঝাই মুর্শিদাবাদ গামী ডাম্পার সহ চারজন চালককে আটক করা হয়। চালকরা চালান দেখিয়েছিল যা জাল এবং সন্দেহজনক বলে পুলিশ মনে করেন। ধৃতরা সকলেই স্বীকার করে যে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাণীশ্বরের ময়ূরাক্ষী নদী থেকে সরাসরি বালি উত্তোলন করা হয়েছে এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন কান্দির দিকে যাচ্ছিল। আটককৃত গাড়িগুলি সাঁইথিয়া থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি বালির কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর চারটি বালি বোঝাই যানবাহনের চালক এবং মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সাঁইথিয়া থানার ওসির উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।