
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
জেলার বুকে অবৈধভাবে বালি পাচার রোধে স্বয়ং জেলা শাসক বিশেষ অভিযান চালিয়ে পরপর কয়েকদিনের মধ্যেই বড়োসড়ো সাফল্য লাভ করেন। তথাপি অবৈধ বালি পাচার থেমে নেই। যদিও বর্ষাকালে নদীগর্ভে বালি উত্তোলন আইন বিরুদ্ধ। বিকল্প হিসেবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গোপন ডেরায় অবৈধ ভাবে বালি মজুদ করা হয়েছে বলে পুলিশ এদিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন। জানা যায় সোমবার রাত প্রায় বারোটা নাগাদ বালি ভর্তি একটি ডাম্পার মহম্মদবাজার থানার কালিমাতা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জাতীয় সড়কের উপর দেখতে পান ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গেই পেছন ধাওয়া করে গাড়িটি আটকে দেয়। বালি বোঝাই উক্ত ডাম্পারটি কালীমাতা পেট্রোল পাম্পের কাছে আটক করে চালকের কাছে বালির ছাড়পত্র দেখতে চায়। চালক কোনও ই-চালান দেখাতে ব্যর্থ হন। সেই সাথে চালক জানান যে, মহম্মদ বাজার থানা এলাকার মুরগাবনিতে অবৈধ বালি মজুদ করা হয়েছে। সেখান থেকেই অবৈধ বালি সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল বলে জানা যায়। চালক আটক হলেও খালাসি সঙ্গে সঙ্গেই গাঢাকা দেয়। তদন্তের ভিত্তিতে, বালি বোঝাই ডাম্পারটিকে রাতে টহলরত মহম্মদবাজার থানার এএসআই অবনী মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়ির চালক এবং মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনের আওতায় মামলা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।