সাঁইথিয়া রেলব্রিজ মেরামতের কাজে গতি আনা হয়েছে

বিজয়কুমার দাসঃ

সাঁইথিয়ার রেললাইনের ওপরের রেলব্রিজটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে সাঁইথিয়াবাসীকে পুরসভা নির্দিষ্ট বিকল্প ঘুরপথ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এর ফলে টোটো ভাড়া লাগছে দ্বিগুণ।তাছাড়া সময় যেমন বেশি লাগছে তেমনি হয়রানিও বেড়েছে। স্বভাবতই রেলব্রিজ সংস্কারের কাজ জোরদার করার দাবি উঠেছে। ব্রিজ নির্মাণ সংস্থাও এই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছে।
ব্রিজ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল রাস্তার দুপাশে অবস্থিত কিছু বাসগৃহ ও দোকান দ্বারা সরকারি জায়গা দখল। পুরসভা ও পূর্ত বিভাগের মাপামাপির পরে অনেকেই নিজ খরচে বাসগৃহ, দোকান ভেঙে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করেছেন। যাঁরা করেননি সম্প্রতি সেগুলি ভেঙে সরকারী জায়গার দখল নেওয়া হয়েছে।উল্লেখযোগ্য, রেলব্রিজ থেকে কলেজ যাওয়ার পথে ডানদিকে পরপর অবস্থিত সাঁইথিয়া থানা, সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও সাঁইথিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশ কিছু অংশ সরকারি জায়গা। স্বভাবতই সেগুলি ভাঙা পড়বে। জানা গেছে, সাঁইথিয়া থানার প্রবেশ তোরণ, সীমানা প্রাচীর, সিভিক ব্যারাক ভাঙা পড়বে। সাঁইথিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রবেশ তোরণ, সীমানা প্রাচীর, টিকাদান কেন্দ্রের কার্যালয় ভাঙা পড়বে। নির্মাণ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, থানা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যে জরুরি আবাস বা কার্যালয় ভাঙা পড়বে রেল নিজ খরচে সেগুলি অন্যত্র নির্মাণ করে দেবে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছে সাঁইথিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। কারণ প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর সহ বেশ কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। সীমানা প্রাচীর ভাঙা পড়লে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পুরপিতা তথা বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিপ্লব দত্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ব্রিজ সংস্কারে গতি আনতে কাজ চলছে দিনরাত্রি। ব্রিজের ওপর স্থাপিত হয়েছে সুউচ্চ পিলার। গার্ডওয়াল বসানোর কাজ চলছে। জানা গেছে, নতুন প্রশস্ত ব্রিজ, উড়ালপুল নির্মিত হলে শহরের চেহারাই পালটে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *