সংস্কার পরবর্তীতে নতুন মন্দিরের পুনঃ প্রতিষ্ঠা, নাকড়াকোন্দা গ্রামে

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

কয়েকশত বছর আগে থেকে লোকপুর থানার নাকড়াকোন্দা গ্রামের তামুলীপাড়ায় দে পরিবারে পুজিত হয়ে আসছেন শিলামূর্তি রূপে মা মহামায়া, বাবা ভোলানাথ এবং নারায়ন। দীর্ঘ দিনের পুরাতন মন্দিরটি ভগ্ন দশার কারণে নাকড়াকোন্দা গ্রামের দে পরিবারের কাঞ্চন দে সহ দে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং এলাকাবাসীদের ও কিছু সহৃদয় মানুষদের আর্থিক সাহায্যে পুরাতন মন্দিরটি ভেঙে নতুনভাবে নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মহামায়া, নারায়ন মুর্তি ও শিবলিঙ্গ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা রবিবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সকালে মহিলা ঢাকিদের বাজনা সহযোগে, শঙ্খ, ঘন্টা, কাঁসর, খোল, করতাল বাদ্যের সাথে শতাধিক মহিলা গ্রামের পুকুর থেকে কলস ভর্তি বারি আনয়ন এবং ঘটস্থাপন করা হয়। এরপর গীতাভবনের অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ ও দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দজী যৌথভাবে ফিতে কেটে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেন। সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় সাধুমুখে হরিকথা। যাগ, যজ্ঞের মাধ্যমে মন্দির ও মহামায়া, নারায়ন মুর্তি ও শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাশাপাশি দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও গ্রামের কচিকাঁচাদের কয়েকটি দলকে ফুটবল প্রদান করা হয় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গীতাভবনের অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ, দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক সত্যশিবানন্দজী মহারাজ, শিক্ষক উজ্জ্বল হক কাদেরী ও শ্যামল গায়েন, নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবনী বাগ্দী, লোকপুর থানার ওসি সায়ন্তন ব্যানার্জি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *