বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের চাষীরা সবজি চাষে ব্যস্ত এখন

শম্ভুনাথ সেনঃ

কৃষিনির্ভর বীরভূম। আর বীরভূমের কৃষি মূলত বৃষ্টি নির্ভর। প্রধান ফসল ধান। এবছর সুচারু বৃষ্টিপাতের ফলে বেশিরভাগ জমিতে ধান চাষ হয়েছে। তবে অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা, সেইসব উঁচু জমিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সবজি চাষ। ইতিমধ্যেই বাজারে আমদানি হচ্ছে টাটকা বাঁধাকপি ও ফুলকপি। জেলার ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকের উলকুণ্ডা, রামবাটী, ঝলকা, বহড়া, নপাড়া, দুনা, মহাদ্বীপা, গলিয়াড়া, রামনগর এমন সব গ্রামের চাষীরা বাঁধা ও ফুলকপি চাষের পরিচর্যায় ব্যস্ত এখন। এইসব গ্রাম থেকে প্রতিবছর বাঁধাকপি, ফুলকপি চলে যায় জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা ভিন রাজ্যে। পুজোর মরশুমে সবজির যোগান দিতে পারলে দুটো বাড়তি কাঁচা পয়সার মুখ দেখতে পায় এইসব কৃষিজীবীরা। জেলার ময়ূরেশ্বর ব্লকের অন্তর্গত উলকুণ্ডা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কিছুটা উঁচু জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে বাঁধা কপি ও ফুলকপির চাষের ছবি ধরা পড়েছে নয়াপ্রজন্মের পাতায়। শীতের মরশুমের আগে এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা এই সবজি চাষে লাভের মুখ দেখে। তবে বহু মেহনতের ফসল এই সবজি চাষ। যথেষ্ট দেখাশোনা খরচ ও পরিশ্রম করতে হয় চাষীদের। উলকুণ্ডার জমিরউদ্দিন সেখ, আল্লারাখা সেখ, দুনার শুকচাঁদ সেখ, আল্লা উদ্দিন, নপাড়ার বাবুলাল মণ্ডল, রামবাটির হাপু সাহা, ঝলকার জগন্নাথ মণ্ডল সবার একটাই দাবি ফসলের যেনো সঠিক দাম পাই। এই অঞ্চলের প্রায় ৮-১০ টি গ্রামে কমবেশি এই মরশুমে কপির চাষ হয়ে থাকে। বৃষ্টি অভাবে বেশ ক’বছর ধরে ধান চাষে মার খেয়েছে চাষীরা। তাই সবজি চাষেই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন তারা। সবজি চাষীদের এখন ফুরসত নেই। সকাল হলে মাঠের কাজে ব্যস্ত এখন। এই সময়ে এইসব ফসলের যেমন চাহিদা থাকে, তেমনি বিক্রিও হয় চড়া দামে। সঠিক মূল্য পেলে এই চাষের প্রতি তাদের যথেষ্ট আগ্রহ বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *