
সনাতন সৌঃ
সিউড়ীতে সাহিত্য পরিষদের নিজস্ব ভবনে ১৬ নভেম্বর বেলা তিনটায় বীরভূম সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে বীরভূমের কৃতি সন্তান অধ্যাপক করুণাসিন্ধু দাস এর ৭৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান হয়ে গেল এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শান্তিকুমার মুখোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রামানুজ মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের প্রথমেই প্রয়াত অধ্যাপক করুণাসিন্ধু দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সমবেত কণ্ঠে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী অলোকা গাঙ্গুলী, বিমল সোম, অসীমা মুখোপাধ্যায় ও মানবী সরকার। অতিথিদের বরণ করার পর প্রারম্ভিক ভাষণ দেন সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সরোজ কর্মকার। সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি তথা বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেন যে, অধ্যাপক দাস মহোদয়কে ছাত্র অবস্থায় আমি খুব কাছে থেকেই দেখেছি, খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর কর্মজীবন কেমন ছিল এবং কি কি সৃজনশীল কাজ করেছিলেন তাঁর সমস্ত কিছু কার্যক্রম তুলে ধরে বিস্তারিতভাবে বক্তব্য রাখেন। এরপর স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ডঃ রামানুজন মুখোপাধ্যায় মহোদয়।আলোচ্য বিষয় ছিল -“বিস্মৃতপ্রায় ভাগবতরত্ন কুলদাপ্রসাদ মল্লিক- আমাদের গৌরব”। অধ্যাপক ডঃ মুখোপাধ্যায় খুব সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় বীরভূম সাহিত্য পরিষদের জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরে মহান কৃতি জ্ঞানী গুণীজনদের কথা বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোক সাহিত্য গবেষক ডঃ বাদল সাহা, নেতাজী মুক্ত মঞ্চের সম্পাদক হিমাদ্রী শেখর দে, প্রাবন্ধিক শ্রীকুমার ভট্টাচার্য, সহ সভাপতিদ্বয় সহ সম্পাদকদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক দাসের কন্যা, জামাতা সহ অন্যান্য সুধীজন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে উপস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন বীরভূম স্বনামধন্য সঞ্চালক সুশান্ত রাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন কলেশ্বরের কাছে রসুনপুর গ্রামে। কর্মসূত্রে তিনি কলকাতা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।

