
সনাতন সৌঃ
২১ নভেম্বর দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সত্যানন্দ সভাকক্ষে মহিলাদের পত্রিকা ‘আলোরবেণু’র সম্পাদিকা রীণা কবিরাজের লেখা আত্মমন্থন গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন হলো এক মনোরম পরিবেশে। এই মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের শীর্ষ সেবক মাননীয় স্বামী সত্যাশিবানন্দ মহারাজ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, মাননীয় লোকসঙ্গীত গবেষক-লেখক অতনু চট্টোপাধ্যায় ও মাননীয়া গীতিকার ও কবি মুক্তি রায়চৌধুরী। অতিথিদের বরণ করার পর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শ্রদ্ধা চক্রবর্তী। সদ্য প্রয়াত জেলার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক যামিনী ভূষণ সিংহ ও হেতমপুর রাজবাড়ীর শেষ রাণীমা পূর্ণিমা চক্রবর্তীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন বিশিষ্ট কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক ফজলুল হক। তিনি গ্রন্থ প্রকাশের কিছু কথা কিছু কবিতা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এরপর বর্তমান সময়ে লেখক ও সাহিত্যিকদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক সব্যসাচী ধর, শিবপ্রসাদ খাঁ, লেখিকা অনিতা মুখার্জি, কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুর, শ্রীকান্ত অধিকারী, সুকান্ত দেবনাথ প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সুশান্ত রাহা, তাপস চট্টরাজ, দীপক পৈতন্ডী, অজিত চৌধুরী, সন্তোষ পাল, রঞ্জনা ভট্টাচার্য, রেইনি চৌধুরী, শুভ্রা পান্ডে, চুনীলাল মুখার্জি, দেবযানী মন্ডল, মুক্তি মুখোপাধ্যায়, সুনীল কর্মকার প্রমুখ। ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার বিনয় হাজরা, পুরবিকা মুখার্জি প্রমুখ। উপস্থিত কয়েকজন লেখক, কবি ও শিল্পীকে বই ও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করেন সুখ্যাত বাচিক শিল্পী সুস্মিতা অধিকারী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বইটির লেখিকা রীণা কবিরাজ। অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকলকে মধ্যাহ্ন ভোজনে আপ্যায়িত করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২৪০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে ৫২টি প্রবন্ধ রয়েছে। যার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি কথা, মহাপুরুষদের জীবন চরিত্রের কথাও রয়েছে।
