
শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের নানুরে খুন হলেন এক তৃণমূলের নেতা। মৃতের নাম রাসবিহারী সর্দার। তিনি নানুরের থুপসরার পাতিসরা গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি। গতকাল ৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ওই হামলায় আহত হন আরও তিন জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, গ্রামে নবান্ন উপলক্ষে অন্নপূর্ণা পুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরেই এই খুন। মৃতের ছেলেও এই একই কথা জানিয়েছেন।সেই সঙ্গে গ্রামে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথাও তারা স্বীকার করেন। আহতদের সঙ্গে থাকা লোকজনের দাবি, রাসবিহারী এবং তাঁরা সবাই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখের অনুগামী। সেই কারণেই তাঁদের উপর হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
জানা গেছে শুক্রবার রাতে অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে নানুরের বাসাপাড়া পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রাসবিহারী সর্দার। পথে আচমকাই তাঁদের পথ আটকায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি, শাবল দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। রাসবিহারীর মাথায় শাবলের ঘা মারা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রাই তাঁদের নিয়ে যান পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানেই রাসবিহারীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দিলেও অন্য দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

