
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
কাঁকড়তলা থানার বড়রা ও কাঁকরড়তলা গ্রামের আমরা সবাই এর উদ্যোগে বীরভূম বর্ধমান ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে আগত মোট ৮টি ফুটবল দলকে নিয়ে রবীন্দ্র নজরুল স্মৃতি নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত ১৫ অক্টোবর। ৬ ডিসেম্বর শনিবার ছিল চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলা। পান্ডবেশ্বর ফুটবল একাডেমী বনাম জামুড়িয়া রাজীব একাদশ খেলায় মুখোমুখি হয়ে শেষ পর্যন্ত জামুড়িয়া ১-০ গোলের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষিত হয়। বিজয়ী দলের হাতে নগদ ৮১ হাজার টাকা সহ আকর্ষণীয় ট্রফি এবং বিজিত দলের হাতে নগদ ৭১ হাজার টাকা ও আকর্ষণীয় ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ম্যান অফ দি সিরিজ, ম্যান অফ দি ম্যাচ, বেষ্ট প্লেয়ার, বেষ্ট গোলকিপার হিসেবে চিহ্নিত খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়।

এদিন খেলার সূচনা করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। যদিও তিনি অন্য কর্মসূচি থাকায় খেলা শেষ হওয়ার আগেই চলে যান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মন্ডল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ডঃ প্রলয় নায়েক, রাজ্য যুব তৃণমুল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত সাহা, জেলা পরিষদের সদস্যা কামেলা বিবি ও গগন সরকার, বড়রা পঞ্চায়েত প্রধান আলিন্নেশা খাতুন, খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সদস্য মৃনাল কান্তি ঘোষ, কাঞ্চন দে, উজ্জ্বল হক কাদেরী সমাজসেবী সেখ জয়নাল সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে খেলার মাঠের ধারে দর্শকদের সুবিধার্থে গ্যালারি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পদ্ধতিগতভাবে আবেদন করতে বলে গ্যালারি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় ফিরিয়ে এনেছেন। আমি খেলা ভালোবাসি। বোলপুর টাউন ক্লাবের সদস্য আছি। আকর্ষনীয় গোলকিপার ছিলাম। রাজনীতি করতে গিয়ে আর সময় হয়ে ওঠে না। মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য এদিন সমগ্র খেলা পরিচালনা করেন কোলকাতা রেফারি এ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যা বিপাশা বিশ্বাস ।

