সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হতেই বিরোধী দল গুলি অক্সিজেন পেয়ে যান।যারপরনাই চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচি পালন করতে প্রতিদিনই জেলার নানা স্থানে বিরোধীদের মিছিল ও পথ সভার চিত্র লক্ষনীয়। ঢাকঢোল সহযোগে গুড় বাতাসা, নকুল দানা ইত্যাদি বিলি করতে দেখা যায়। আবার কোথাও তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিতে মিছিলও করেছেন। বুধবার অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই ঘটনাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন স্থানে ধিক্কার মিছিল বের করা হয় ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূল বিষয় ছিল অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানো, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি এবং সিবিআই ও ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে। ২৪ অগাষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে প্রথমে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয় পরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় বোলপুর চৌরাস্তায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বিধান মাঝি, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে দুবরাজপুর ব্লকের লোবা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ধিক্কার মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় পথসভা করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনপাই অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার গৌর সুন্দর মিত্র জানান, খেলতে আমরাও জানি। বিজেপির কর্মীদের বলেন যে, আপনারা উচ্চ নেতৃত্বদের জানিয়ে দেবেন খেলা কিন্তু আপনারা উপর থেকে খেলছেন। ঢাকের চড়াম চড়াম কাঠি যেন নীচুতলার কর্মীদের উপরে না পড়ে। সেটার দিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। তাঁদেরকে সঠিকভাবে খেলতে বলবেন। কারণ উপর তলার কর্মীরা মারা যায় না বা মার খায় না। মার খাই শুধু নীচু তলার কর্মীরা। তাই তাঁদেরকে বুঝিয়ে দেবেন লোবা অঞ্চলে ফালতু বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। এখানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলন বাগদী, লোবা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উজ্জল ঘোষ, পদুমা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুন গড়াই, সেখ ফতেনুর, মাচিন হোসেন, জিন্নাতারা বিবিসহ আরও অনেকে। অনুরূপভাবে জেলার নানা স্থানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।