শ্মশানঘাটে প্রতিক্ষালয় নির্মাণ : মহতী আলোচনা সভা

তীর্থ কুমার পৈতণ্ডী

ময়ূরাক্ষীর ঘাটতলা শ্মশানঘাটে শ্মশানযাত্রীদের প্রতিক্ষালয় নির্মাণকল্পে এক মহতী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল মহঃবাজার থানার বৈদ্যনাথপুর সংলগ্ন নৌরঙ্গীরাধামাধব মন্দির তমাল তলায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডঃ দেবগুরু বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষক প্রভাত সিংহ, শিক্ষক নরোত্তোম বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীন শিক্ষক সনৎ মুখোপাধ্যায়, সনৎ রায়, সুধাংশু সিংহ, সমাজসেবী মহাদেব সিংহ, চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম সিংহ, বিপদতারণ গড়াই, অনুপ সিংহ সহ দুটি গ্রামের অনেক মানুষ। সনৎ রায় প্রতিক্ষালয় নির্মানের প্রয়োজনীয় জমি বিনামূল্যে দেবার কথা ঘোষণা করেন। প্রয়োজনীয় অর্থ কিভাবে সংগ্রহ করা হবে তার নিয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, বৈদ্যনাথপুর এবং নৌরঙ্গী গ্রামের শবদেহ যুগ যুগ ধরে ময়ূরাক্ষীর এই ঘাটেই দাহ করা হয়। পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও এখানে মৃতদেহ আনা হয় দাহ করার জন্য। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় শ্মশান যাত্রীদের খুবই কষ্ট হয় প্রতিক্ষালয় না থাকার জন্য। কালবৈশাখীর ঝড়, বজ্রপাত এবং শীলাবৃষ্টিতে দাহ কাজে বিঘ্ন ঘটে। ঘাটে মৃতদেহ দাহ করার কোন ছাওনি না থাকায় বর্ষায় দাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। শ্মশান ঘাটে প্রতীক্ষালয় এবং দাহ করার স্থানে সেড নির্মাণ তাই জরুরী হয়ে পড়ে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম সিংহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্মশান ঘাটে প্রয়োজনীয় প্রতীক্ষালয় তৈরি করে দিচ্ছে। কিন্তু ময়ূরাক্ষীর ঘাটতলা শ্মশান ঘাট ভৌগলিক দিক থেকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে হওয়ায় সরকারি ভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। তাই আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে শ্মশান ঘাটে প্রতীক্ষালয় এবং সেড করার উদ্যোগ নিয়েছি”। প্রয়োজনীয় জমি দান করার জন্য সকলেই সনৎবাবুর প্রশংসা করেন। সনৎবাবু বলেন, জনগণের স্বার্থে তিনি জমি দান করেছেন। আগামী বাংলা নববর্ষের দিন প্রতিক্ষালয়ের ভিত খননের কাজ শুরু হবে। এই মহতী উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *