ভাস্কর মণ্ডলঃ
এই প্রণাম মন্ত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ পূজা, শারদীয়া দুর্গাপূজা। বীরভূম জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ‘পারচন্দ্রহাট’-এই গ্রামের কতটা প্রাচীন দুর্গাপূজা সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি। তবে এইটুকু বলা যায় ১৯৪২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে এই পূজা চলে আসছে। খেটে খাওয়া চাষী-প্রধান এই গ্রামটি অভাবী মানুষের বাস। সেই আমলে এই দুর্গা পূজাটি চালু করেছিলেন—(১)মন্মথনাথ মন্ডল, যিনি পূর্ত দপ্তরের বাস্তুকার রূপে দীর্ঘদিন সদর শহর সিউড়িতে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। (২) বৈদ্যনাথ মন্ডল-যিনি পরবর্তী জীবনে বৈষ্ণব সাধক রূপে পরিগণিত হয়েছিলেন। (৩) বিভূতিভূষণ মন্ডল। (৪) মোহন চন্দ্র মন্ডল। (৫) সুধীর কুমার মন্ডল প্রমূখ, এনারা কেউই বেঁচে নেই। বেঁচে আছে তাঁদের কীর্তি, ‘ঈশ্বর’ নিত্য-সত্য! ‘সত্যই’ ঈশ্বর, চির শাশ্বত।’ তখন এই পূজাটি সম্পূর্ণ মন্ডল পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে এই পূজাটি অনেকখানি বড় আকার ধারণ করে সার্বজনীন রূপে ‘মা’ পূজিত হচ্ছেন। এখন সমস্ত গ্রামবাসী মিলে একটি বড় মন্দির নির্মাণ করে ‘মা’ কে পুজো দিচ্ছেন। এইভাবে সকলেই মিলিতভাবে মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণে মিলিত হচ্ছেন এবং যথাযথ বিধি, রীতিনীতি মেনে ‘মা’ এখানে পূজিত হন।