শম্ভুনাথ সেনঃ
প্রায় ৯ মাস পর সিবিআই এর জালে ধরা পরল বীরভূমের রামপুরহাট, বগটুই কান্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন সেখ। ৩ ডিসেম্বর রাতেই বীরভূম সন্নিহিত ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাকে তোলা হয় রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। বিচারক ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। বগটুই কাণ্ডে বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখের খুনের পরেই বগটুই গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে নিহত হয়ে দশজন। এই ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল লালন শেখের। তার হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। চার্জশিটেও নাম ছিল ভাদু শেখের ছায়া সঙ্গী লালনের। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ঝাড়খন্ড থেকে লালনকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। “বগটুই কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে লালন সেখের তল্লাশি চলছিল বলে সিবিআই এর তরফ থেকে জানানো হয়। এতদিন সে ভিনরাজ্যে আত্মগোপন করেছিল। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টা নাগাদ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এই ভাদু শেখ খুন হন। এরপর এই রাতেই বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে বগটুই এবং ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ড দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে সিবিআই। এপর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই একের পর এক উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই সময় থেকেই লালন সেখের খোঁজ চালাচ্ছিল তদন্তকারীরা সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু হদিশ মিলেনি তার। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৯ মাস পর অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ল লালন।