দীপককুমার দাসঃ
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সিউড়ির বেনীমাধব ইনষ্টিটিউশনের মাঠে গত শুক্রবার শুরু হয়েছিল বাংলা আমার গর্ব অনুষ্ঠানের। শুক্রবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী ও জেলা শাসক বিধান রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক নীলাবতী সাহা, সিউড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন লোকনৃত্য, নৃত্য, বাউল, সঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।সিউড়ির বেনীমাধব ইনষ্টিটিউশনের মাঠে বিরাট মঞ্চে, বাহারী আলোকের কারসাজিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। শনিবার মঞ্চে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন বর্ষীয়ান লোকশিল্পী রতন কাহার। এছাড়া সঙ্গীত, কাঠিনাচ, সমবেত নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।বাউল গান পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাউল শিল্পী লক্ষণ দাস বাউল। রবিবার শেষ দিনেও জমজমাট অনুষ্ঠান মাতিয়ে দেয় শ্রোতাদের। সমবেত সঙ্গীত, নৃত্যানুষ্ঠান এর পর পরিবেশিত হয় চিয়ায়ত পটের গান, সুকুমার দাসের মুখোশ নাচ। তবে শেষ দিন মূল আকর্ষণ ছিল সোনালী রায় ও অরিত্র চক্রবর্তীর গান। ভারতের মুক্তি সংগ্রামে বাংলা বিষয়ক প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়। সাঁওতাল বিদ্রোহ থেকে শুরু করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয় এই প্রর্দশনীতে। বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের স্টল করা হয়েছিল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে।