শম্ভুনাথ সেনঃ
করোনা অতিমারির কারণে বছর তিনেক তেমনভাবে মেলা হয়নি। তবে এবার সেই পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে আজ ১৪ ই জানুয়ারী থেকে শুরু হল বীরভূমের “জয়দেব মেলা” -২০২৩। বীরভূমের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বড় মেলা। এ মেলা এখন বাউল মেলা হিসেবে চিহ্নিত। তবে প্রতিটি আখড়ায় আজ থেকেই বাউলের পাশাপাশি শুরু হয়েছে কীর্তন গান। কবে থেকে এ মেলার উৎপত্তি তা বলা বড় জটিল ! তবে ১৯৮১ সাল থেকে এই জয়দেব মেলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।দ্বাদশ শতকের এক কবিকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা আজও সমান জনপ্রিয়। এ বড় আশ্চর্যের ব্যাপার! উৎসাহ আর উদ্দীপনায় আজ থেকেই লক্ষ লক্ষ ভক্ত-পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে কেন্দুলীতে। রাত পোহালেই অজয় নদে শুরু হবে মকরের পুণ্যস্নান। আখড়ায় আখড়ায় বাউল আর কীর্তনের সুরে মুখরিত জয়দেব কেন্দুলির আকাশ বাতাস। বৈষ্ণব কবি জয়দেব গোস্বামীর তিরোধান দিবস উপলক্ষে অজয় নদীর কূলে বসেছে এই মেলা। সরকারি বাউল মঞ্চে বাউল শিল্পী লক্ষ্মণ দাস বাউলের বাউল গানের মধ্য দিয়ে আজ দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছোটো, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বীরভূম জেলা সমাহর্তা বিধান রায়, বীরভূম জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী,জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অধিকারিকরা। সরকারিভাবে মেলা চলবে ১৭ ই জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন সন্ধ্যায় জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি সেবা সমিতির উদ্যোগে ভক্তিভবনে সাহিত্য সভা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। পৌরহিত্য করেন কবি অরুণ চক্রবর্তী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাহর্তা বিধান রায়।এদিন “চণ্ডীদাস” পত্রিকার “জয়দেব মেলা” সংখ্যা এবং সুভাষ কবিরাজের সম্পাদনায় “দেউল” পত্রিকার উদ্বোধন হয়।