দিদির দূত হিসেবে গ্রামবাসীদের দেওয়া আশ্বাস, বিশ্বাসে আস্থা বাড়ালেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় দিদির দূত নামক কর্মসূচি। সেখানে দলীয় বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী থেকে উচ্চ স্থানীয় নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে জনসাধারণের কাছে অভাব অভিযোগ শুনতে যাওয়ার কথা। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে অভাব অভিযোগের কথা শোনেন কোথাও আবার বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় দিদির দূতদের। অনুরূপ গত ১৫ জানুয়ারি “দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচিতে গিয়ে দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই অঞ্চলের আলিপুর গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। কার্যত তাঁকে গ্রাম ঢোকার আগেই রাস্তার মধ্যে কাঠ, ডালপালা ফেলে রাস্তা আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। এলাকার গ্রামবাসীদের দাবি ছিল পানীয় জলের। বহু জায়গায় আবেদন নিবেদন করেও পানীয় জলের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়নি বলে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তৎক্ষণাৎ সেখানে দাঁড়িয়েই বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আগামী দশ দিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। তাই সাত দিনের মাথায় পানীয় জলের বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গেল রবিবার আলিপুর গ্রামে। স্থানীয় গ্রামবাসী রফিকুল আলম চৌধুরি জানান, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা ছিল। তাই আমরা গ্রামবাসীরা মিলে বিধায়কের কাছে সেদিন আবেদন করেছিলাম। উল্লেখ্য সেদিন বিক্ষোভকারীদের সম্মুখে দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেন আপনারা আমাকে কেন আগে অভিযোগ করেননি। কোথায় কাকে বলেছেন জানি না তবে আমি বিধায়ক, জেলা সভাধিপতি বলছি, কথা দিচ্ছি পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে শীঘ্রই। আমার অফিসের দরজা সবসময় সবার জন্য খোলা আছে। মুখ্যমন্ত্রী পৌরসভা সহ বিভিন্ন স্তরে পানীয় জলের জন্য ট্যাক্স তুলে দিয়েছেন জনগণের মধ্যে সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে তাই এটারও সমাধান হবে। যাক সেদিন বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রতিশ্রুতির কথা দশদিনের আগেই জলের কল বসানোর জন্য রবিবার বোরিং শুরু হয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দের ছবি। বিধায়ক কথা দিয়ে কথা রেখেছেন এবং দ্রুত গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় জল পৌঁছে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন স্থানীয় গ্রামবাসী রফিকুল আলম চৌধুরী, জিকরিয়া মন্ডল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *