দীপক কুমার দাস
রবিবার সন্ধ্যায় সিউড়ির ডি.আর.ডি.সি. হলে অনুষ্ঠিত হলো ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমীর প্রথম বর্ষপূতির অনুষ্ঠান। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে জি বাংলার সারেগামাতে নজরে আসেন সিউড়ির ইন্দ্রনীল দত্ত। এরপর বিভিন্ন চ্যানেলে সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে মন জয় করে নেন।সাধক বামাক্ষাপা, রাণী রাসমণি সহ বিভিন্ন সিরিয়ালে তার কন্ঠে মুগ্ধ হয়েছে আপামোর জনগণ। নতুন প্রজন্মের থেকে প্রতিভাবান সঙ্গীত শিল্পীদের লাইম লাইটে আনতে তৈরি করেছেন ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমী। রবিবার সিউড়ির ডি.আর.ডি.সি. হলে এই সংস্থার প্রথম বর্ষপূতির অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান লোকশিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মানস চক্রবর্তী, সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক মিহির কুমার চন্দ্র। এই অনুষ্ঠানে সংস্থার বিভিন্ন বয়সের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বংশীবাদক সৌম্যজিৎ ঘোষ বাঁশির সুরে মুগ্ধ করেন শ্রোতাদের। তবলায় যোগ্য সঙ্গত করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক উৎপল দাস। এছাড়া ঠুমরি পরিবেশিত হয়। ঠুমরি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শুদ্ধশীল চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গতে ছিলেন আশীষ পাল। অনুষ্ঠানে দুটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল দত্ত। আর তাতেই জয় করে নেন শ্রোতাদের মন। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সী। তিনি মঞ্চে উঠে এই সংস্থার শিল্পীদের ও এই সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রনীল দত্তের প্রশংসা করেন। হল ভর্তি শ্রোতাদের অনুরোধে “তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো” গানটি গেয়ে শোনান। পরিশেষে এই সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সীদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে মেমোন্টো ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন অদিতি মুন্সী, স্বপ্না চক্রবর্তী, মানস চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টজনেরা। এদিনের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সঞ্চালক বরুণ কুমার দাস। অনুষ্ঠান শুরু হবার আগেই সঙ্গীত প্রেমীদের ভিড়ে হল পূর্ণ হয়ে গেছিল।