সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তথা একশো দিনের কাজের টাকা সহ রাজ্যের প্রাপ্য অন্যান্য খাতের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য ব্যাপী সরব হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস বুধবার। সেই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশানুযায়ী রাজ্যের সমস্ত ব্লক এলাকায় ২৯ ও ৩০ মার্চ দুদিন ব্যাপী ব্লক স্তরীয় ভাবে অবস্থান ধর্না কর্মসূচির কথা। সেই মোতাবেক বুধবার প্রথম দিন শুরু হয়েছে অবস্থান ধর্না কর্মসূচি। সমগ্র রাজ্যের পাশাপাশি জেলার মধ্যেও সমস্ত ব্লক এলাকায় শুরু হয় ধর্না অবস্থান কর্মসূচি। রামপুরহাট, সিউড়ি, দুবরাজপুর, রাজনগর, খয়রাসোল সহ জেলার সমস্ত ব্লক এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার চিত্র পাওয়া গেছে। রামপুরহাট দু নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাক্তার অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাহারা মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছবি লেট। কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে এরই প্রতিবাদে আজ ধর্ণা মঞ্চে শামিল হয়েছেন রাজনগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকুমার সাধু, ব্লক সহ-সভাপতি রানা প্রতাপ রায়, ব্লক চেয়ারম্যান সৌমিত্র সিংহ, ব্লক সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ শরীফ সহ অন্যান্যরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ধর্ণা চলবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। বাংলা আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ সহ সড়ক উন্নয়ন বরাদ্দ কম করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী, জেলা পরিষদ সদস্যা আঁখি অধিকারী, খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার সাহা,জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রজত মুখার্জী, জেলা এস সি এস টি সেলের সভাপতি নবগোপাল বাউরী, ব্লক পরিচালন কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, মৃনালকান্তি ঘোষ, ব্লক নেতৃত্ব কাঞ্চন দে, শিক্ষক উজ্জ্বল হক কাদেরী প্রমুখ। দুবরাজপুর ব্লক এলাকায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র, অরুণ চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃত্ব।