সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকট হয়ে উঠছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক বনাম খয়রাসোল ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্বের মধ্যে মূল উৎপত্তি। খয়রাসোল ব্লক সভাপতির আবেদন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী সুদীপ্ত ঘোষকে খয়রাসোল ব্লক থেকে সরিয়ে জেলা কোর কমিটিতে স্থান দেন। পরদিনই সুদীপ্ত ঘোষকে ব্লক এলাকায় সংগঠক হিসেবে পেতে চায় বলে সাতজন অঞ্চল সভাপতির আবেদন উর্ধ্বতন দলীয় নেতৃত্বের কাছে। এনিয়ে প্রকাশ্যে আসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। পরবর্তীতে ব্লক সভাপতি মিটিং ডাকলে সাতজন অঞ্চল সভাপতি অনুপস্থিত থাকেন, পরোক্ষভাবে সভা বয়কট করেন। ১১ এপ্রিল সুদীপ্ত ঘোষ জরুরি চিঠি দেন ব্লক সভাপতিকে বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের নিয়ে ১২ এপ্রিল সভা করার জন্য। সূত্রের খবর ব্লক সভাপতি এক্ষেত্রে বলেন যে এই মুহূর্তে মিটিং করা যাবে না, আলোচনা করে পরবর্তীতে ডাকা হবে, এই মুহুর্তে পরিস্থিতি ঠিক নেই। এরূপ পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিটিং। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র ফের প্রকট হয়ে উঠলো খয়রাসোলে। বুধবার খয়রাসোল ব্লক তৃণমূূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ভাবে বুথ কমিটি, অঞ্চল কমিটি, ব্লক কমিটি, যুব সভাপতি এস সি এস টি সভাপতি, ছাত্র পরিষদ সদস্য সংখ্যালঘু সভাপতি, মহিলা অঞ্চল সভানেত্রী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি সহ অন্যান্যদের নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা বীরভূম জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, নরেশ বাউরী, যুব সভাপতি দেবব্রত সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এদিনের জরুরী বৈঠকে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার সাহা, সহ সভাপতি অসীমা ধীবর, ব্লক কমিটির সদস্য রজত মুখার্জী, ব্লক কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহমান, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং ব্লক কমিটির অন্যতম সদস্য শ্যামল গায়েন সহ বেশ কিছু ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব এদিনের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত নেতৃত্বরা আগামীতে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে মজবুত করার আহ্বান জানান। এদিন মূলত ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। সুদীপ্ত ঘোষ জানান আজ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। নরেন চক্রবর্তী বলেন গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের যে ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আলোর মাধ্যমে তা আজ থেকে দূর হয়ে যাবে। ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী বলেন আমি জেলা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি। খয়রাসোলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছায়া, সংঘাত কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে সবাই তাকিয়ে।