শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের খুষ্টিগিরীতে হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে আজ ২৯ জুন সকাল ৭ ঘটিকায় পবিত্র ‘ঈদ উল আযহা’র নামাজ অজস্র মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠিত হল। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন পীর হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী এই পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন―ঈদ-উল-আযহা উৎসব ― ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজ প্রিয় পুত্র ইসমাইল(আঃ) কে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর আচরণে প্রমাণিত হয়েছিল পুত্রের ভালোবাসা থেকেও আল্লাহতালার প্রতি ভালোবাসা অনেক বড়। তাঁরই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্জ্ব ঈদ-উল-আযহার নামাজ পাঠ করেন ও পশু কোরবানী করেন। কোরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে গুপ্ত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে; বিসর্জন দিতে হবে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় হতে হবে সচেষ্ট। তবেই সার্থক হবে উৎসর্গের উৎসব ― কোরবানী। বিশ্বময় বিরাজ করবে মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানী।
ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একে অপরকে হাতে-হাত মিলিয়ে ও বুকে-বুক মিলিয়ে করেন প্রীতি বিনিময়। হজরত সাঈয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ ভক্তেরা জিয়ারত করেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় মসজিদের ইমাম শামসের আলম সাহেব দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানান।