মেহের সেখঃ
আবেক্ষণ নাট্যগোষ্ঠীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবসের সন্ধ্যায় কলকাতার গিরিশ মঞ্চে দুখানি একাঙ্ক নাটক মঞ্চস্থ হল। এদিন প্রথমেই আবেক্ষণ-এর প্রযোজনায় চোরাবালি নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এরপরই মঞ্চস্থ হয় বালার্ক নাট্যগোষ্ঠীর প্রযোজনায় তোতার কাহানী নাটকটি। আবেক্ষণ প্রযোজিত চোরাবালি নাটকটির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কোভিড পরবর্তী সময়ে কিভাবে মানুষ চোরাবালির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়টি। চোরাবালি নাটকটি রচনা করেছেন অসীম বন্দোপাধ্যায় এবং নাটকটির নির্দেশক মানবেন্দ্র গোস্বামী। এই সন্ধ্যের দ্বিতীয় নাটক বালার্ক নাট্যগোষ্ঠীর প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তোতা কাহিনী’ অবলম্বনে তোতার কাহানী। ‘তোতা কাহিনী’ গল্পের মূল কাঠামোটিকে ঠিক রেখে বালার্ক প্রযোজিত তোতার কাহানী নাটকটিতে বর্তমান আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তোতার কাহানী নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনায় ছিলেন বসন্ত পাথ্রডকর। তোতার কাহানী নাটকটিতে ব্যবহৃত বেশ কিছু ছোট ছোট মূকাভিনয় নির্মাণ করেছেন বর্ষীয়ান মাইম শিল্পী বিদ্যুৎ দত্ত। নাটকটিতে তোতার ভূমিকায় অভিনয় করেন পূজা কুন্ডুর, রাজার ভূমিকায় অভিনয় করেন সব্যসাচী বসু। তবে এই নাটকের বিশেষভাবে উল্লেখ করবার জায়গা হল কোরাস অভিনয়। এই নাটকের আবহ এবং সঞ্জয় দাসের আলোক পরিকল্পনা বিশেষভাবে নাট্যামোদী দর্শকের নজর কাড়ে।