শম্ভুনাথ সেনঃ
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনী জনসভায় আজ ৩ জুলাই সরেজমিন হাজির থাকার কথা ছিল বীরভূমের দুবরাজপুর জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। কিন্তু হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লাগার কারণে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও ছিলেন ভার্চুয়ালী। এদিন দুবরাজপুর সারদা ফুটবল ময়দানের মঞ্চে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করা হয়। আর সেই দূরভাষ বক্স ও স্পিকারের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠ পৌঁছায় তৃণমূল কর্মীদের কাছে।
প্রায় ২৫ মিনিট ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিজেপি, সিপিআইএম কে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনুব্রত ও তার মেয়েটাকে ফাঁসিয়ে ধরে রেখেছে। যদি প্রমাণ থাকে তাহলে কোর্টে গিয়ে প্রমাণ করুক। পঞ্চায়েত ভোটটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। ওঁরাও তো কোটি কোটি টাকার স্ক্যাম করে যাচ্ছে। উনি সিপিআইএম এর উদ্দ্যেশে বলেন দিল্লি তে এক, বাংলা তে এক। দিল্লি কা লাড্ডু। এখানে বাংলাতে নিজেদের জেতার ক্ষমতা নেই, বিজেপি-সিপিএম এক হয়েছে। ওদেরকে মানুষ ছুড়ে ফেল দেবে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর সহ, মণিপুর প্রসঙ্গে বলেন বিজেপি এদেরকে শেষ করেছে।
এছাড়াও উনি বলেন আমার পায়ে একটু চোট আছে ছোটো খাটো দুটো অপারেশন করতে হবে। তবে আমার বাংলার মা বোনের ভালোবাসায় ঠিক আছি। আমি মানসিক ভাবে সুস্থ আছি, সুস্থ হয়েই প্রথমে বীরভূমে আসার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।তৃণমূলের ঘাস ফুল চিহ্নে ভোট দেবার আহ্বান জানান।
মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বক্তব্য শেষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রাখেন। এদিন মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, দুবরাজপুর পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।