সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত বছর আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় ধানচাষ মার খায়। এবছরও এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষীদের পাশাপাশি চাষের কাজে নির্ভর বহু শ্রমিকও অসহায় হয়ে গেছে। যদিও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি এবং পাম্পের সাহায্য সেচ দিয়ে দু-এক জায়গায় সামান্য হলেও চাষের কাজ চলছে। কাজের সন্ধানে পার্শ্ববর্তী গ্রাম এলাকার শ্রমিকরাও অটো টোটো চায়না ভ্যান সহযোগে সেখানে যাচ্ছে। যদিওবা দু-চার দিন সেখানে কাজ পাওয়া যায়। এই আসা নিয়ে তাদের নিত্য যাওয়া আসা। সেরূপ অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ রবিবারও যথারীতি খাবার বেঁধে গাড়ি করে কৃষি কাজে যাবার পথে রাস্তায় জ্যামের মধ্যে আটকে পড়ে বহু শ্রমিকদের গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে পড়ার ফলে তাদের আর কাজে যোগদান করা হলো না। ফলে আজকের দিনটি তারা রোজগার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। সেই ক্ষোভে কৃষি কাজে যাওয়া শ্রমিকদের দল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এমনকি পাথর খাদান মালিক এ্যাসোসিয়েশনের অফিস ঘেরাও করে দিন হাজিরা হিসেবে ক্ষতি পূরনের দাবি তোলা হয়। ঘটনাটি রামপুরহাটের সালবাদরা এলাকার।বিবরণে জানা যায় যে, সালবাদরা পাথর শিল্পে মহরম উপলক্ষে তিনদিন নো এন্ট্রি থাকায় পাথর বোঝাই লরি ও খালি লরির যাতায়াত বন্ধ ছিল। গত রাতে একসঙ্গে নো এন্ট্রি ছাড়ার ফলে কাষ্ঠগড়া এলাকায় জ্যামের মুখে পড়তে হয় গাড়ি সহ শ্রমিকদেরকে। প্রায় ঘন্টা তিনেক জ্যামে আটকে থাকার পরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের বক্তব্য এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এলাকায় চাষ নেই তাই তাদেরকে খাটতে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বহি গ্রামে। এলাকায় কাজ না থাকায় নিজের খরচে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হয় তাদেরকে কাজ করতে। এই সমস্যার সম্মুখীন হতেই তারা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।কৃষি কাজে যাওয়া সমস্ত শ্রমিকদের বক্তব্য তাদের একদিনের বেতন ও গাড়ি ভাড়া পাথর শিল্পকে বহন করতে হবে। তা না হলে এই অবরোধ চলবে।তবে ঘন্টা তিনেক অবরোধ চললেও প্রশাসনিক ভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এমনকি পাথর খাদান মালিক পক্ষেরও লোকজন আসেনি বলে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের দাবি।