শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভুমের শান্তিনিকেতন “WORLD HERITAGE SITE ফলক থেকে ব্রাত্য স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের নাম”। আর তারই প্রতিবাদে আন্দোলনের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপ্যাধায়। উনি “X” ও ফেসবুকে এই প্রতিবাদ করেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি নিয়ে নিজস্ব ফেসবুক আ্যাকাউন্টে পোষ্ট করেন। ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলা ধর্নামঞ্চ থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে হুমকি দেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা৷ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরই প্রতিবাদে দুই দিন ধরে চলছে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তকমা দিয়েছে। এই সংক্রান্ত ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে ৩ টি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই ফলকে লেখা রয়েছে, “ইউনেসকোর স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।” আর নীচে নাম রয়েছে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ তিনি দলের নেতা-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অবস্থান বিক্ষোভ করার জন্য। সেই মত ২৭ অক্টোবর থেকে শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে শুরু হয়েছে ধর্না৷ এদিন ধর্নামঞ্চে উপিস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ সহ তৃণমূল কাউন্সিলর ও দলীয় নেতৃত্ব৷ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা তথা নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, “নিজের নামটা খোদাই করে রেখে যেতে চাইছেন। রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলে। আমরা চাইলে ৫ মিনিটের মধ্যে আপনাকে (উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনতে পারি৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি নির্দেশ দেন আপনাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে বোলপুর, বীরভূম ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না৷ আর এসব ফলক থাকবেও না।” এইভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ধর্ণামঞ্চ থেকে হুমকি দেন তৃণমূল নেতা গদাধর হাজরা। এদিনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি গলায় নিয়ে ফলক বিতর্কে আন্দোলন চালিয়ে যায় তৃণমূল-কংগ্রেস। বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমাদের অঙ্গে অঙ্গে। তাঁকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই হয় না৷ তাই আমাদের আন্দোলন চলবে।”