শম্ভুনাথ সেনঃ
আদিবাসী সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বিরসা মুন্ডা। জন্মেছিলেন ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের এমন এক ১৫ নভেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতের রাঁচি অঞ্চলের একজন মুন্ডা আদিবাসী এবং সমাজ সংস্কারক। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার-অবিচারে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা করেন। বিদ্রোহীদের কাছে তিনি বিরসা ভগবান নামে পরিচিত ছিলেন। সারা রাজ্যের সাথে বীরভূমেও সরকারি উদ্যোগে তাঁর ১৫৯ তম জন্মজয়ন্তী মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। মূল অনুষ্ঠানটি হয় সদর সিউড়ির সিধো কানহু মুক্তমঞ্চে। এদিন সাঁওতাল বিদ্রোহের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হয়। সিধু কানু ও বীরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বীরভূমের জেলা সমাহর্তা বিধান রায়, সিউড়ী বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী সুনীল সরেন, সিউড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মানালি সরেন, সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের প্রাণী স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মাতঙ্গিনী সরেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্ববিজয় মার্ডি, মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাসিনী মুর্মু, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব হেমরম সহ আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনেরা। এদিন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরসা মুন্ডার সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন বক্তা। এদিন দ্রুততার সঙ্গে পাঁচ জন আদিবাসী উপভোক্তার হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া স্বল্প সুদে রাজনগর ও সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে ঋণের চেক প্রদান করা হয়।