শম্ভুনাথ সেনঃ
বিতর্কিত ফলক সরিয়ে শান্তিনিকেতনে আজ ৬ ডিসেম্বর লাগানো হলো নতুন ফলক। এই ফলকে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সহ শান্তিনিকেতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়৷ প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল৷ নাম ছিল না স্বয়ং বিশ্বকবির৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশক্রমে সেই ফলক ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হল৷ উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে। তারপরেই ২০ অক্টোবর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, গৌরপ্রাঙ্গণে ৩ টি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছিলেন৷ তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিজের নাম দিয়েছিলেন৷ ফলকে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা নিয়ে সরব হন বিশ্বভারতীর একাংশ পড়ুয়া থেকে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা৷ সেই সঙ্গে শাসক দল। বিদ্যুৎবাবুর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর৷ নতুন উপাচার্য হন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ‘বিতর্কিত’ ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই মত আজ ৬ ডিসেম্বর রাতে শান্তিনিকেতনের সেই বিতর্কিত ফলক ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হয়। বসানো হল নতুন ফলক৷ তাতে লেখা রয়েছে বিশ্ব-ঐতিহ্য প্রাঙ্গণ “শান্তিনিকেতন”। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সহ শান্তিনিকেতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এবং তা তিনটি ভাষায় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে৷