সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
কম বয়সে বিয়ে দেওয়া যেমন আইন বিরোধী। তেমনি শারীরিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। এনিয়ে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। তথাপি এক শ্রেণীর লোকজন আইনের চোখে ধুলো দিয়ে কম বয়সে বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু প্রশাসন বিভাগ ও যথেষ্ট সক্রিয় থাকার ফলে নাবালিকার বিয়ে আটকাতে সক্ষম। সেরূপ ১৩ ডিসেম্বর বুধবার নলহাটি এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে আটকালো প্রশাসন। জানা যায় যে, জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সম্পাদিকা তথা বিচারক সুপর্না রায় এর নির্দেশ মতো পার্শ্ব আইনি সহায়ক কৌশিক পাল উক্ত এলাকায় নাবালিকার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারেন মেয়েটি নাবালিকা। সেই হিসেবে স্থানীয় নলহাটী থানার পুলিশ, শিশু সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিগণ নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। এরপর তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কম বয়সে বিয়ে দেওয়া বেআইনি সে বিষয়ে যেমন বোঝানো হয় সাথে সাথে মেয়ের শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। জন্মগ্রহণের শংসাপত্র অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৭ বছর, সেই হিসেবে ১৮ বছর না হলে বিয়ে দেওয়া যাবে না। এবিষয়ে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মুচলেকা লেখা হয় এবং অঙ্গীকার করেন যে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না।