বীরভুম:স্বামীর মৃত্যুর দু’বছর পরেও সংরক্ষিত শুক্রানু ব্যবহার করে পুত্র সন্তানের মা হলেন ৪৮ বছর বয়সি সঙ্গীতা

শম্ভুনাথ সেনঃ

চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভিনব ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর দু’বছর পরেও তার সংরক্ষিত শুক্রানু নিয়েই মা হলেন এক ৪৮ বছর বয়সী মহিলা। বীরভূমের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিজার করার পরে শিশু সন্তানের জন্ম দেয় এই মা। এ তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট তথা ভাইস প্রিন্সিপাল চিকিৎসক পলাশ দাস। বীরভূমের মুরারই থানা এলাকার এই মহিলার নাম সঙ্গীতা কেশরী। স্বামীর নাম অরুণ প্রসাদ কেশরী। বহু বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পরেও তাদের কোনো সন্তান ইস্যু হয়নি। তবে সঙ্গীতার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে একদিন না একদিন সে মা হবেন। বাচ্চা না আসার ফলে তার স্বামী কলকাতার একটি পরীক্ষাগারে শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখেন ক’বছর আগেই। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান অরুণ প্রসাদ কেশরী। স্বামীর রাখা শুক্রাণু ব্যবহার করে ৪৮ বছর বয়সে মা হলেন সঙ্গীতা কেশরী। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে মা হন। উল্লেখ্য, মুরারই এর বাসিন্দা অরুণ প্রসাদ কেশরীর বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির সঙ্গীতা কেশরীর সঙ্গে। স্বামীর মুদিখানার দোকান ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর সঙ্গীতা কেশরী চালাতেন সেই দোকানটি। গত ১২ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার জটিলতার কারণে রাত্রি দশটা নাগাদ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ দিনই রাত্রি ১১ নাগাদ অস্ত্রোপাচার করে আড়াই কেজি ওজনের পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সঙ্গীতা কেশরী। স্বামী মৃত্যুর পরেও আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চা হওয়ায় তার সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে শিশু ও মা এখন সুস্থ আছে বলেই জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *