সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র সরকার আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি জারি রেখেছেন। সেই সমস্ত দাবির ভিত্তিতে আজ ১০ মার্চ কলকাতায় জনগর্জন সভা নামে এক সভার ডাক দেওয়া হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জন বিরোধী নীতি সহ অন্যান্য দিক নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি এদিনের সভা মঞ্চ থেকেই রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনেই দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এদিকে বীরভূমের রামপুরহাট পৌর ময়দানে সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এক জনজাগরণ সভার ডাক দেওয়া হয়। সেখানে মজুরি, ফসলের ন্যায্য দাম, সকলের হাতে কাজ, শিক্ষা, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দেওয়া হয়। এদিনের সভা থেকে আওয়াজ ওঠে, দেশ লুটেরা, রাজ্য লুটেরা, সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও বিজেপির সঙ্গী তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই জনজাগরণ সভা বলে বক্তাদের বক্তব্য। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা সম্পর্কে বলেন মুখ্যমন্ত্রী চিৎকার করে জয় বাংলা বললেও কিন্তু বাংলা জানে না ঘোষিত তৃণমূলের প্রার্থীরা। এছাড়াও অভিযোগ করেন মোদিজীর সাথে আলোচনা করেই এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। বেশির ভাগই বিজেপি থেকে আসা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে বা স্থান পেয়েছে। শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, মুকুটমনি অধিকারী, বিশ্বজিৎ দাস ইত্যাদিদের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন আমরা মানুষকে এ্যাডভান্টেজ দিতে চায়। সৌমিত্র খাঁ বনাম সুজাতা খাঁ সম্পর্কে বলেন তার তো বিজেপি থেকে রাজনীতিতে, কখনো তৃণমূল। সেটা মূলত শেষ পর্যন্ত গৃহবিবাদের মধ্যে চলে গেছে। জোটগত ভাবে আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত আছে যে কোনো মুহুর্তে প্রকাশ করা হবে, সেখানে তৃণমূল বিজেপি বাদ দিয়ে জোট গঠন করা হয়েছে।