শম্ভুনাথ সেনঃ
নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার এই প্রথম এলেন বীরভূমে। বীরভূম ও বোলপুর (তপঃ) লোকসভার কেন্দ্রের দুই বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য ও পিয়া সাহার সমর্থনে বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের আমোদপুর মেলার মাঠে আজ ৩ মে সভা করেন তিনি৷ উল্লেখ্য, এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই ৩ বার জয়ী হয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেসের প্রার্থীরা৷ তাই এই আসন দুটি জয়লাভ করতে মরিয়া বিজেপি৷ গত ৩০ এপ্রিল সিউড়িতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভার পর এই দ্বিতীয়বার বিজেপির হেভিওয়েট শীর্ষনেতা প্রচারে এলেন৷ এদিন সভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দুই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী, দলের রাজ্য সম্পাদক তথা বীরভূমের জেলা নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা, বীরভূম ও বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা প্রমুখ। এই নির্বাচনী প্রচারে দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক, সাধারণ মানুষ হাজির ছিলেন। সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে ঐতিহাসিক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আছে৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আমি বিশ্বভারতীর আচার্য হওয়ায় সৌভাগ্য অর্জন করেছি৷ তাই বোলপুরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অন্যরকম৷ ২৫ বৈশাখ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন৷ আমি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলাম তখন আমি শান্তিনিকেতনে এসেছিলাম৷ আর তারপরেই বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছিলাম৷ তিনি এই মঞ্চ থেকে গুরুদেবের চরণে বারবার প্রণাম নিবেদন করেন।
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের নেতারা সমস্ত রকম দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে৷ কড়া সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। টাকা নিয়ে ওএমআর সিট বদল করা হয়েছে। এক একটি পদের জন্য ৪-৬ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বাংলায় গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে তৃণমূল। আমি কথা দিচ্ছি আমি এদের শাস্তি দেব। যারা আপনাদের কাঁদিয়েছে তাদের ছাড়ব না।” “তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য ২৫ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াবে বিজেপি। তাঁদের আইনি সাহায্য দেওয়া হবে।”তৃণমূল বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে৷ তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন এরপরেও তৃণমূলকে সাজা দেবেন না? চোরকে মাপ করবেন? ওএমআর সীট পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়েছে। ভ্রষ্টাচারীদের ছাড়ব না, এটা মোদি গ্যারান্টি। আমরা নতুন শিক্ষানীতি চালু করেছি, কংগ্রেস ৭০ বছরেও তা পারেনি৷ তবে এটা শুধু টেলার! এখনও প্রচুর কাজ বাকি আছে।” এদিন এই মোদীর সভায় দলের কর্মী সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো।