সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার আলিয়ট যুব সংঘের পরিচালনায় স্থানীয় ঈদগাহ ফুটবল মাঠে তিন দিবসীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার ছিল চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলা। বীরভূম বর্ধমান সহ ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে মোট ১৬ টি দল খেলায় অংশ গ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলাটি দুবরাজপুর থানার আদমপুর বনাম ঘাট গোপালপুর ফুটবল দল দুটি মুখোমুখি হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো পক্ষ গোল করতে না পারায় ট্রাইবেকারে নিষ্পত্তি হয়। সেখানে আদমপুর ফুটবল দল জয়লাভ করে। বর্তমান যুব সম্প্রদায়কে মোবাইল ছেড়ে খেলাধূলায় আগ্রহ সৃষ্টি করা। পাশাপাশি খেলাধুলা মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটায়। সম্প্রতি, ভাতৃত্ব বোধ জাগ্রত হয়।সেই সাথে বিনোদন মূলক হিসেবে আনন্দ উপভোগ করে। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে বলে উপস্থিত অতিথিগন তাদের বক্তব্যে সেই কথা উল্লেখ করেন। পুরস্কার স্বরূপ প্রথম স্থানাধিকারী কে নগদ সতেরো হাজার টাকা ও ট্রফি এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী কে নগদ দশ হাজার টাকা ও ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অফ দ্য গোলকিপার সহ বিভিন্ন বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লোকপুর থানার ওসি পার্থ কুমার ঘোষ, শিক্ষক শ্যামল কুমার গায়েন ও উজ্জ্বল হক কাদেরী, সমাজসেবী মৃনাল কান্তি ঘোষ, কাঞ্চন দে সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পাশাপাশি গ্রামবাসী হিসেবে ছিলেন হাফিজ সামিউল খান, সিদ্দিক খান, মজু খান, ইয়াকুব খান, আলতাফ খান, আজিজুল খান, এলাম খান সহ গ্রামের বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও যুব সম্প্রদায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল কুমার গায়েন এলাকায় এধরনের খেলা উপহার দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানান। সেই সাথে খেলার মাঠের কাগজ পত্র সঠিকভাবে জমা দিলে মাঠটির উন্নয়নের ব্যাপারে সমিতির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হাফিজ সামিউল খানও এক সাক্ষাৎকারে খেলা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন।