শম্ভুনাথ সেনঃ
এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বীরভূমের সদর সিউড়ি মল্লিক গুনাপাড়ায়। তবে এটি আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে আত্মীয় পরিজন ও এলাকার মানুষের মনে নানা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। মৃতের নাম সৈকত রক্ষিত। বয়স ২৫ বছর। সে সিউড়ি চন্দ্রগতি হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। পরে কলকাতা আশুতোষ কলেজ থেকে ইংরেজিতে সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে। পরবর্তীতে ব্যাঙ্গালোরে একটি বিএসসি নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়। তিন বছর পর জানা যায় সেটি ভুয়া কলেজ। চার লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড যায় বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়। এই ঘটনায় সে হতাশায় ভুগছিল। বর্তমানে বীরভূমের মল্লারপুর সংলগ্ন একটি বেসরকারী কলেজে বিএসসি নার্সিং এ পাঠরত পড়ুয়া। দুর্ঘটনার দিন বাড়িতে মা বাবা কেউ ছিলনা। ইসিএল কর্মী বাবা সজল রক্ষিত বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে তীর্থক্ষেত্রে যান। মা ছিলেন সৈকতের মামার বাড়ি সিউড়ি সংলগ্ন আলুন্দা শক্তিপুরে। এদিন তাকে ফোনে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা বিকল্প চাবি নিয়ে এসে বাড়ি খুলে সিলিং ফ্যানের হুকে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তবে পা দুটো কাপড় দিয়ে বাধা ছিল। সেই কারণে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে রহস্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। বাড়ির যে রুমটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে পুলিশের পক্ষ থেকে সেই বাড়ি সীল করে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর আজ ১৬ অক্টোবর মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।