শম্ভুনাথ সেনঃ
পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শুভ “৭৩ তম বীরভূম শুভাগমন” স্মরণোৎসব নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৭ নভেম্বর বীরভূমের রাজনগর ব্লকের হরিপুরে যথাযোগ্য শ্রদ্ধায় উদযাপিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ১৬ নভেম্বর বেলা ১১.৩০ টায় তিনি সপার্ষদ রাজনগরের হরিপুরে “বড়মা’র” নামে খরিদ করা জমি দেখতে আসেন।১৯৪৮ সালে ৬০ একর ৪২ শতক জমি খরিদ করা হয়। এই দিনটিকে স্মরণীয় করতে ঠাকুরের ভক্ত শিষ্যরা “শ্রী শ্রী ঠাকুরের বীরভূম আগমনী দিবস” হিসেবে মিলন উৎসবে মিলিত হয়। সকাল থেকেই উষাকীর্তন ও সমবেত প্রার্থনা দুপুরে সাধারণ সভায় আলোচিত হয় ঠাকুরের জীবনগাথা।
এই অনুষ্ঠানে কড়িধ্যা সৎসঙ্গ আশ্রমের কর্ণধার অনিল চক্রবর্তী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ৭৩ বছর আগে ঠাকুরের বীরভূম পদার্পণের কথা ও জীবনগাথা উপস্থিত ভক্তদের কাছে তুলে ধরেন। ঠাকুরের উপলব্ধির কথা তুলে ধরেন দেওঘর সৎসঙ্গের দীপাঞ্জন প্রসাদ, ডাঃ কুমার মধুপ, কৃপা বিভব, ডাঃ বিধান মণ্ডল, সহপতি ঋত্বিক কান্তি দে, নিমাই চন্দ্র সাহা প্রমুখ। পরে এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মাতৃ সম্মেলন। পরিবেশিত হয় সংগীতাঞ্জলি। দুর-দূরান্ত থেকে আগত অন্ততঃ ১৫ হাজার ভক্ত-শিষ্যরা এদিন দুপুরে একসঙ্গে গ্রহণ করেন ভাণ্ডারার মহাপ্রসাদ। ছিল প্রশাসনিক কড়া নিরাপত্তা। উল্লেখ্য, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ছিলেন সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ৩০ ভাদ্র তালনবমী তিথিতে বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরবর্তী হিমাইতপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। তাঁর জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বী রমনী। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহণ করেন। এদিন বীরভূম শুভাগমনের ৭৩ তম স্মরণোৎসবে ঠাকুরের ভক্ত শিষ্য সহ সাধারণ মানুষজন ছিল উৎসবে মাতোয়ারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঠাকুর অনুরাগী শিক্ষক অচিন্ত্য সিংহ।