
শম্ভুনাথ সেনঃ
“বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র” উদ্যোগে বীরভূমের রামপুরহাটে “লক্ষ্মী অনুষ্ঠান ভবনে” ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলার এক বিশিষ্ট সমাজসেবী সাধন সিংহ। এই সান্ধ্য অনুষ্ঠানে গৌরবময় অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল সেখ, রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর মানস দাস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিভাস চন্দ্র অধিকারী, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের সুপারিনটেনডেন্ট চিকিৎসক পলাশ দাস, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ শিকদার, রামপুরহাট থানার আইসি সুকোমল ঘোষ প্রমুখ। অতিথিদের হাত ছুঁয়ে মাঙ্গলিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং তারাপীঠ তারামাতা সেবাইত সংঘের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলে মিষ্টি মুখের পালা ও সাংবাদিকদের মধ্যে বিজয়ার আলিঙ্গন।

এদিন বক্তব্যে জেলা সভাধিপতি ফায়জুল হক সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যে। ডেপুটি স্পিকার আশিসবাবু তাঁর বক্তব্যে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা এমন সংবাদ পরিবেশন করেন যেখানে সরকারকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাদের ভুল ভ্রান্তি। অনেক সময় গদি নড়ে যায়। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। অনেক সময় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর দেখে আমরা এলাকায় ছুটে যাই।” এদিন এই অনুষ্ঠানে জেলার ৪ জন প্রবীণ সাংবাদিক এবং ১ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন সাংবাদিক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, শম্ভুনাথ সেন, রুহুল আমিন এবং খাইরুল আনাম। ব্যতিক্রমী সমাজ ভাবনার স্বীকৃতি স্বরূপ সিভিক ভলান্টিয়ার শিবায়ণ ভট্টাচার্যের হাতেও সম্বর্ধনা তুলে দেওয়া হয়। এদিন ২১ জন যক্ষ্মা রোগীর ছয় মাসের পুষ্টিকর খাবার সরবারহের দায়িত্ব গ্রহন করে সাংবাদিকদের এই সংগঠন। পুষ্টিকর খাবারের জন্য একটি চেক তুলে দেওয়া হয় মল্লারপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সৌরভ চক্রবর্তীর হাতে। সাংবাদিক আশিস মণ্ডল, অঞ্জন দে, ভোলানাথ চক্রবর্তী, শান্তনু হাজরা, আরিফ আহমেদ, অভিষেক দত্ত রায় সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিকরা এই দিন উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেক সাংবাদিককে উত্তরীয় দিয়ে বরণ এবং হাতে তুলে দেওয়া হয় ” স্মৃতি স্মারক “। পরে নৈশ ভোজের পাশাপাশি এদিন একটি বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
