হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের ১২৫তম বর্ষ পূর্তি

সন্তোষ পালঃ

অবিভক্ত বাংলার প্রাচীনতম কলেজ হল হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজ। মহারাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তীর স্ত্রী মহারানী পদ্মসুন্দরী দেবী তার শ্বশুর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে। রাজ্যের তথা বীরভূমের প্রাচীনতম কলেজের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায়, হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়, কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জ্ঞানেন্দ্রনাথ মণ্ডল, দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে, দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা। এদিন সাংসদ শতাব্দী রায় কলেজের প্রাচীন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় ১২৫তম বর্ষে একটি স্মারক তুলে দেন সাংসদ শতাব্দী রায়ের হাতে। এদিন সাংসদ শতাব্দী রায় মহারাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তী নামাঙ্কিত হলঘরের দ্বার উন্মোচন করেন। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জ্ঞানেন্দ্রনাথ মণ্ডল কলেজের আর এক প্রাক্তন অধ্যক্ষ গোবিন্দ গোপাল মজুমদারের আবক্ষ প্রস্তর মূর্তির উন্মোচন করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে পদ্মসুন্দরী দেবীরও আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করা হয়। ঐতিহ্যপূর্ণ বীরভূমের এই কলেজে দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়-এর মত বহু জ্ঞানী গুণী দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে তদানীন্তন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল অধ্যাপক নুরুল হাসানসহ বহু জ্ঞানী গুণীর সমাবেশ ঘটেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *