বাল্য বিবাহ রোধে দৃষ্টান্ত, বীরভূমের বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের

শম্ভুনাথ সেনঃ

এখনো বিয়ের বয়স ১৮ হয়নি। পাত্রী পক্ষের পরিবার পাত্রীকে লুকিয়ে বিয়ের দেখাশোনা চালাচ্ছিল। তবে অভিভাবকদের এই অভিসন্ধি টের পায় একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী। পাত্রী দেখার জন্য পাত্রপক্ষ আসার আগে গত ২ এপ্রিল, বুধবার সে স্কুলে হাজির হয় বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ে। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই বাল্যবিবাহ রোধে সারা বীরভূম জেলা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে। তারই সার্থক ফল পেল বোলপুর শিক্ষা নিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর নাম আজমিরা খাতুন। সে প্রধান শিক্ষককে কাতর ভাবে জানায় সে পড়াশোনা করতে চায়। এখন থেকে বিয়েতে গররাজির কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন শিক্ষকদের কাছে। বাড়িতে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ আনে ওই ছাত্রী। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেবে বলে তার বাবা-মা ছেলে পক্ষকে নিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করার আগেই তা প্রতিরোধ করা যায়। এই ঘটনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার দাস স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালক সমিতি সদস্যগণ, কন্যাশ্রী দপ্তর, বিডিও অফিস, শান্তিনিকেতন থানা, কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতে বিষয়টি নজরে আনেন। সকলের সহযোগিতা নিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *