রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের লেখায় প্রকৃতি এবং পরিবেশ বিষয়ে আলোচনা সভা

মেহের সেখঃ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ৯ মে শুক্রবার সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য অকাদেমির প্রধান কার্যালয় নিউ দিল্লিতে সাহিত্য মঞ্চ কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় প্রকৃতি এবং পরিবেশ বিষয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। স্বাগত ভাষণ দিয়ে উক্ত আলোচনাসভার শুভ সূচনা করেন সাহিত্য অকাদেমির সচিব ড. কে. শ্রীনিবাস রাও। স্বাগত ভাষণে ড. কে. শ্রীনিবাস রাও বলেন বিংশ শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্ব রূপে রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখায় ও ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৃতি এবং পরিবেশের যে সম্বন্ধ অনুভব করেছিলেন আজকের দিনে দাঁড়িয়েও তা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। উক্ত আলোচনাসভার অধ্যক্ষ প্রখ্যাত ইংরেজি লেখিকা মালাশ্রী লাল নিজের অধ্যক্ষের ভাষণে বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রতিটি জন্মদিনে একটি করে কবিতা লিখতেন। তাঁর জীবনে প্রকৃতি এবং সঙ্গীতের খুবই প্রভাব ছিল। তাঁর এই প্রকৃতি প্রেমের কারণেই তিনি শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির মধ্যে পড়াশোনা করতে এবং পড়াশোনা করানোতে সংকল্প করেছিলেন। তিনি তাঁর অনেক লেখাতেও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। বক্তা রাধা চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গীতাঞ্জলি থেকে উদাহরণ দিয়ে বলেন তিনি মানব জীবন ও বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে এক চক্রীয় সম্বন্ধে একে অপরের পরিপূরক বলে মনে করতেন। তিনি বিশ্বভারতীর সাথে তপোবনের প্রাচীন পরম্পরার তুলনা করে এখানে বিভিন্ন উৎসব পালন করতেন। বক্তা রেবা সোম রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গানে প্রকৃতির বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন রবীন্দ্রনাথের ২৮৩ টি গানে প্রকৃতির বর্ণনা রয়েছে। শান্তিনিকেতনেও তিনি ঋতু পরিবর্তনকে আধার করে শারদ্বোৎসব, হেমন্ত উৎসব, বসন্ত উৎসব ও বর্ষা উৎসব পালন করতেন। বক্তা রেখা সেঠী রবীন্দ্রনাথের বিপুল সাহিত্য সম্ভার স্মরণ করতে গিয়ে বলেন রাষ্ট্রগানেও তিনি প্রকৃতি, পাহাড়, নদী, সমুদ্রকে নিয়েই ভারতকে পুরো বলে দেখিয়েছেন। তিনি ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাকেও পরিবেশের সঙ্গে সঞ্চালিত বলে মনে করতেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারু রূপে সঞ্চালনা করেন সাহিত্য অকাদেমির উপসচিব ড. দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *