
শম্ভুনাথ সেনঃ
মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সূর্যমুখীর ফুল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতনে মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই উজ্জ্বল হলুদ ফুলের হাসি। চাষের জমিতে সেই দৃশ্য যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। উল্লেখ্য, সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি হয় উচ্চমানের ভোজ্য তেল। যা বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী।তবে বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুপ্রিয় কুমার সাধু সূর্যমুখীর চাষ করেছেন মনের খেয়ালে। ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে নয় বরং সূর্যমুখীর বীজ খেয়ে বেঁচে থাকবে টিয়া পাখি। আর সেই সঙ্গে পর্যটকদের সেলফি জোন হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করেছেন এই সূর্যমুখীর বাগান। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় ঝাঁকে ঝাঁকে আসে টিয়া পাখির দল। পাশাপাশি পর্যটক ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত এই বাগানে এসে ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। আর তাতেই মনের খোরাক মেটান সুপ্রিয় বাবু। তিনি জানিয়েছেন, “তিনটি ভাগে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন”। মূলত সারা বছরই যেন পাখির খাবার এবং পর্যটকেরা এখানে এসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। অবসর জীবনে সুপ্রিয় বাবুর এই সূর্যমুখীর চাষ এক ব্যতিক্রমী ভাবনা বৈ কি!