
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
অবৈধভাবে কয়লা বালি গরু পাচারের করিডোর হিসেবে দুবরাজপুর থানার বিভিন্ন এলাকা ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই হিসেবে এলাকায় পুলিশের নজরদারি চালাতেই ধরা পড়ছে পাচারকারীরা। সেরূপ আজ ১৯ মে সকালের দিকে ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানা এলাকার মধ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গরু ভর্তি গাড়ি সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জানা যায় এদিন দুবরাজপুর থানা এলাকার গোহালিয়ারা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মাহিন্দ্রা পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। এরপর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দেখেন গাড়ির মধ্যে ৯ টি গরু বোঝাই রয়েছে। গাড়ির পিছনে কাঠের স্লাইড দিয়ে ঢাকা এবং কাঠ দিয়ে তৈরি দুটি বাঙ্কারে আটকানো রয়েছে গরুগুলো।

বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গাড়ি ভর্তি গরু সহ চালক এবং অন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি সিউড়ি থানার বাশজোড় গ্রামে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করে যে সাঁইথিয়া হাট থেকে গরু ক্রয় করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বরাবনি এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। গরু বোঝাই গাড়ি এবং আটক তিনজনকে দুবরাজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে ওসিকে যথাযথ আইনের অধীনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য জানানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য গত ১৫ মে দুবরাজপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতর থেকে গাড়ি ভর্তি ১৮টি গরু সহ একজন পাচারারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়েছে। চার দিনের মধ্যে পরপর দুইবার অবৈধ গরু পাচারকারীদের গাড়ি গরু সহ গ্রেফতার। যাহা দুবরাজপুর থানার নাকের ডগায় এবং এই থানার অধীনে বক্রেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গরু ভর্তি গাড়ি আটক জেলা সদর থেকে আগত ডিএসপি ডিইবি র নেতৃত্বে। এনিয়ে দুবরাজপুর থানা ও বক্রেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির সক্রিয়তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন।
