বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়িতে দুর্গাপুজোর কার্ণিভালে মানুষের ঢল

দীপককুমার দাসঃ

এবার ইউনেস্কো দুর্গা পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার জেলায় জেলায় পুজোর কার্ণিভাল করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দ্বাদশীর দিন শুক্রবার সিউড়িতে হলো বির্সজনের কার্ণিভাল। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিউড়ির বেনীমাধব মোড় থেকে শুরু হয় সিউড়িতে বিসর্জনের প্রথম কার্ণিভাল। ট্রাফিক পুলিশ সাইরেন বাজিয়ে এদিন কার্ণিভালের সূচনা করেন। কানিভ্যালের শুরুতেই ছিল অরবিন্দপল্লী সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি।মহিলারা বুকে খেলা হবে স্লোগান লেখা পোষ্টার বুকে নিয়ে ব্যাট, বল খেলতে খেলতে তাদের শোভাযাত্রা করে। সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হয়।ঢাকের বাদ্যি, আদিবাসী নৃত্য, ধুনুচি নৃত্য, রাইবেশে নৃত্য, ছৌ নাচ, ঘোড়া নাচ, রঙিন ছাতা এই শোভাযাত্রাকে আরো বর্ণময় করে তোলে। মুল মন্ডপের সামনে পুজো কমিটিগুলো দু মিনিট করে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। বেনেপুকুর পাড়া, লম্বোদরপুর অন্নপূর্ণা সমিতি, কলেজপাড়ার রেনবো ক্লাব, চাদনী পাড়াউদয়ন সঙ্ঘ, তিলপাড়া সম্মেলনী সমিতি, বড়বাগান প্রান্তিক সংঘ, রবীন্দ্রপল্লী সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি কার্ণিভালে অংশগ্রহণ করে। সিউড়ির এস পি মোড় পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা চলে। সার্কিট হাউসের সামনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, সাংসদ অসিত মাল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া প্রতিটি পুজো কমিটিকে মানপত্র দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। সিউড়ির বড় পুজো কমিটিগুলো এই শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ না করলেও সিউড়িতে প্রশাসনের উদ্যোগে এবারের প্রথম কার্ণিভ্যাল ঘিরে মানুষের উৎসাহ ছিল চরমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *